নারীর ক্ষমতায়ন অনুচ্ছেদ রচনা
নারীর ক্ষমতায়ন ব্যাপক অর্থে একজন নারীর স্বকীয়তা, নিজস্বতা সর্বোপরি স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিকাশকে বোঝায়। নারী-পুরুষের মধ্যকার অসমতা ও বৈষম্য দূর করে নারীকে পুরুষের সমকক্ষে প্রতিষ্ঠিত করাই হলো নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর ক্ষমতায়ন করতে হলে নারীকে ক্ষমতা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীদেরকে শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। সমাজ ও অর্থনীতিতে নারীর অবদান যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে এবং তাদের উপর নির্যাতন করা প্রতিরোধ করতে হবে, তবেই নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে। নারীর ক্ষমতায়নের প্রেক্ষিতে বলা যায় রাষ্ট্রের মূলধারার প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ধেক সদস্য হবে নারী। শুধু সদস্য হিসেবে নয়, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে জনগণের অংশগ্রহণ যত নিবিড় হবে উন্নয়নও হবে তত টেকসই ও বিস্তৃত। সারাবিশ্ব এখন নারীদের ক্ষমতায়নের সুফল ভোগ করছে। অনেক নারী এখন বিশ্ব-নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছাড়াও নোবেল জয়ী মালালা, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, সাবেক ইউএস পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ইন্ডিয়ান কংগ্রেসের প্রধান সোনিয়া গান্ধীসহ আরও অনেক প্রভাবশালী নারীর কথা বলা যায়। পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অগ্রাধিকারকে নারীর ক্ষমতায়ন বোঝায়।