দুর্নীতি উন্নয়নের অন্তরায় রচনা
২১৩ শব্দ
জাতি, উন্নতি,দুর্নীতি- এ তিনটি শব্দের উচ্চারণের শেষে মিল থাকলেও প্রথমটির জন্য দ্বিতীয়টির যতটা প্রয়োজন,দ্বিতীয়টিরজন্যতৃতীয়টিতার চাইতেও বেশিক্ষতিকর এবং বর্জনীয়। অসৎ বা অবৈধ সুবিধা লাভের জন্য মানুষের পরিচালিত কার্যক্রমেরনামকে আমরা‘দুর্নীতি’ বলে অভিহিত করতে পারি। অপরদিকে,উন্নতি হচ্ছে পরিকল্পিত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে অবস্থারউত্তরণ।সামগ্রিকভাবে,সারাবিশ্বে এটি বিশ্বাস করা হয় যে,দুর্নীতির জাতীয় উন্নতির অন্তরায়। একদিকে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড দুর্নীতির ক্ষেত্র প্রস্তুত করে,অপরদিকে ব্যাপকে দুর্নীতির ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিরক্ষেত্রেওঅন্তরায়।‘বিশ্বব্যাংক’ নামক এক সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান‘বাংলাদেশে দুর্নীতি’বিষয়ে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে“বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রোধ করা গেলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২ – ৩ শতাংশ বেড়ে যেত এবং মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ হতো।” দুর্নীতি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি অন্যতম বাধা। অপরদিকে, দুর্নীতি এবং দারিদ্র,জাতীয় জীবনের দুটিদুষ্টচক্রের সৃষ্টসমস্যা। দারিদ্র্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতিকে সহায়তা করছে,আবার দুর্নীতির ফলে আমার দারিদ্র্যের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসতে পারছি না। সর্বোপরি স্বাস্থ্য,শিক্ষাসহ মানব উন্নয়নের বিভিন্ন খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায় থেকে বরাদ্দকৃত অর্থের ৭৫ ভাগইরাজনীতিবিদ, আমলাতন্ত্রবাদীরা, ওদুর্নীতিবাজরা আত্মসাৎ করছে বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল প্রণীতরিপোর্টে উঠে এসেছে। সুতরায়, দুর্নীতি,উন্নতিরসকলক্ষেত্রে অভিশাপ হিসেবে বিরাজ করে উন্নতির ক্ষেত্রে মারত্মক অন্তরায় সৃষ্টি করছে। তাই,সরকার, মুসলিম রাজনীতিবিদ ওজনগণেরসম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে এদেশ থেকে দুর্নীতির মূলোৎপাটন করতে হবে। তবেই এদেশে সোনালিসুদিনওসুখিভবিষ্যৎসুনিশ্চিত হবে।