Mujib Borsho Paragraph

“মুজিব বর্ষ ও রূপকল্প-২০৪১”
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঘোষিত ‘মুজিববর্ষ উদযাপনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এ উপলক্ষে বছরজুড়ে দেশ-বিদেশে ২৯৮টি আয়োজনের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ৬ জুলাই আওয়ামী লীগের এক যৌথ সভায় জাতির পিতার জনন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী আগামী ১৭ মার্চ। তাই সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ ‘মুজিববর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দিয়ে উচ্চপর্যায়ের দুটি কমিটি গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১০২ সদস্যের জাতীয় উদযাপন কমিটি এবং জাতীয় অধ্যাপক ও নজরুল গবেষক রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬১ সদস্যের জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয় । দেশের বাইরেও সাড়ম্বরে উদযাপিত হবে জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষের আনন্দ আয়োজন। ইউনোস্কোও বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে মুজিববর্ষ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সংস্থার ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়। ফলে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন আন্তর্জাতিক রূপ পেয়েছে।
জমকালো উদ্বোধনঃ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ থেকে। এই দিন সূর্যোদয়লগ্নে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনীর তোপধ্বনি ও বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বর্ণাঢ্য উদ্বোধন অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি ও কর্মজীবন নিয়ে হলোগ্রাফিক উপস্থাপনা ও থিম সং পরিবেশিত হবে। এ ছাড়া জন্মশতবার্ষিকীর বিভিন্ন স্মরণিকা ও স্মারক বক্তৃতা প্রকাশ এবং দেশি-বিদেশি শিল্পীদের সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। মূল অনুষ্ঠানের পর থাকবে আতশবাজি। জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক সময়ের রাজনীতিবিদ ও সামাজিক ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
দেশ-বিদেশে নানা আয়োজনঃ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮ মার্চ ডাকা হবে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন, যেখানে বিভিন্ন দেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা যোগ দেবেন। বছরজুড়ে ২৯৮টি অনুষ্ঠানমালায় আরও রয়েছে আনন্দ আয়োজন, সেবা ও উন্নয়নের বিষয়গুলোর প্রচার, পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শন, আন্তর্জাতিক প্রকাশনা, বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তন ও ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তকরণ এবং বাংলা ও ইংরেজিতে জন্মশতবার্ষিকী স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ। ইউনেস্কোয় বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। ইউনেস্কোয় জন্মশতবার্ষিকীও উদযাপন করা হবে।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিদেশের আরও পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার, বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে গবেষণার জন্য যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি ও কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সেন্টার এবং লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘর ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ‘মুজিব ফেলোশিপ অ্যান্ড ইন্টার্নশিপ’ প্রোগ্রাম চালু করবে।
আন্তর্জাতিক প্রকাশনা ও অনুবাদের মধ্যে রয়েছে ইংরেজিতে ছবি, স্কেচ ও আলোকচিত্র নিয়ে ‘কফি টেবিল’, ‘শেখ মুজিব লাইফ অ্যান্ড টাইমস’ ও ‘বায়োগ্রাফি অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ এবং বঙ্গবন্ধুর চীন সফর নিয়ে অনুবাদগ্রস্থ প্রকাশ। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর নির্বাচিত ভাষণ ইংরেজি ছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ এবং জাতির পিতার জীবনীভিত্তিক অ্যালবামসহ ১০০টি প্রকাশনা বের করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকায় প্রকাশিত ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা সংগ্রহ ও প্রকাশ করা হবে। আগামী বছরের অমর একুশে গ্রন্থমেলা বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করা হবে। জনন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ বছরের নভেম্বরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা ছাড়াও গাজীপুরের মৌচাকে বিশেষ আন্তর্জাতিক স্কাউট জাম্বুরি আয়োজিত হবে।
সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া আয়োজনঃ চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ সারাদেশে এক হাজার ডিজিটাল ডিসপ্লেসহ বিদেশের বড় বড় শহরে ডিজিটাল স্ক্রিন স্থাপন করে বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর বিভিন্ন কনটেন্ট প্রচার এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হবে। ইউটিউব ও ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় আপলোড করা হবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত কনটেন্ট। সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোয় জাতীয় সংবাদে জাতির পিতার নির্বাচিত ভাষণের অংশবিশেষ ও জন্মশতবার্ষিকীর খবর প্রচারিত হবে। বঙ্গবন্ধুর নামে একটি আর্কাইভ স্থাপন করা হবে, যেখানে তাকে নিয়ে প্রকাশিত সব লেখা ও অডিও-ভিডিও প্রকাশনাগুলো থাকবে।
দেশের সব লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন, ট্রেন ও জাহাজ জন্মশতবার্ষিকীর লোগো/ট্যাগলাইন দিয়ে সজ্জিত এবং বিনামূল্যে ভ্রমণের বিশেষ ট্রেনসেবা চালু করা হবে। হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ’ ঘোষণা করা হবে। জীবিতমুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নানা আয়োজন ও সারাদেশে জেলা-উপজেলায় সপ্তাহব্যাপী ‘মুজিবমেলা’র আয়োজন হবে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ঘটনা ও স্থান নিয়ে ৬৪ জেলায় চিত্রায়িত ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে ৬৪টি অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা হবে। বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করবে। সুবিধাজনক সময়ে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার বা সেন্ট্রাল পার্ক ও লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে কনসার্ট আয়োজন করা হবে।
ক্রীড়ামোদী ও কৃতী খেলোয়াড় বঙ্গবন্ধুর নামে মুজিববর্ষে আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবল ও দুটি আন্তর্জাতিক টি২০ ক্রিকেট ম্যাচ এবং আন্তর্জাতিক ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড (প্রতিবন্ধী) ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছাড়াও প্রায় সব ধরনের খেলার ওপর আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে টুর্নামেন্ট ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
দিবসভিত্তিক আয়োজনঃ ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার দিবস, ৭ জুন হয় দফা দিবস, ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুগ্ৰেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী, বঙ্গবন্ধুর ‘জুলি ও কুরি’ পদকপ্রাপ্তি দিবস, ত নভেম্বর জেলহত্যা দিবস এবং ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে থাকবে আলোচনা সভা, সেমিনারসহ নানা আয়োজন | ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস পালন করা হবে জাকজমকভাবে। ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীর ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেনে আন্তর্জাতিক সেমিনার এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ও আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হবে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগস্ট মাসজুড়ে থাকবে জাতীয় উদযাপন কমিটি ও আওয়ামী লীগের নানা আয়োজন। ১৯৬৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয়। দিনটি স্মরণে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এই বছারের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের দিন থেকে সাত দিনের কর্মসূচি ও জয় বাংলা কনসার্টের আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দেন। দিনটি স্মরণে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ প্রদানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা এবং বাংলাদেশেও আলোচনা ও সেমিনার হবে। ওই দিন টেলিভিশন, বেতার ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি প্রচার করা হবে।
রূপকল্প-২০৪১ঃ উন্নত দেশে যেতে রূপকল্প ২০৪১ এর রোডম্যাপ বা পথচিত্র তৈরি করেছে সরকার। আগামী ২০ বছরের জন্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় এমন সব সংস্কার কর্মসূচি নেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে যার ফলে সার্বিক অর্থনীতিতে বাছ ধরনের পরিবর্তন সূচিত হবে। ফলে ওই সময়ে বার্ষিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৯.৯ শতাংশ। মানুষের গড় মাথাপিছু আয় গিয়ে ঠেকবে সাড়ে ১২ হাজার ডলারে। চরম দারিদ্র্য বলতে কিছু থাকবে না। অর্থাৎ তা শূন্যে নেমে আসবে। মাঝারি দারিদ্র্যও কমে আসবে ৫ শতাংশের নিচে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের তৈরি প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ এর সারসংক্ষেপ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই সারসংক্ষেপে বলা হয়, উচ্চ প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং দারিদ্র্যমুখী দেশ গড়ে উঠে টেকসই সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর। এ জন্য প্রয়োজন ফলপ্রসূ করব্যবস্থা ও ব্যয় সংকোচন নীতিমালা। তার সঙ্গে যোগ হয় সঞ্চয়, সুশাসন, গণতন্ত্রায়ণ, বিকেন্দ্রীকরণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি। প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা, পরিবহণ, বাণিজ্য, জ্বালানি ও গুণগত বিনিয়োগ। এর সঙ্গে আরো অনেক কিছুর মেলবন্ধন ঘটিয়ে গড়ে উঠে একটি উন্নত দেশের ভিত্তি। এ লক্ষ্যে চারটি প্রধান প্রাতিষ্ঠানিক স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো বলা হয়, এসবে ভর করেই এগোবে উন্নত বাংলাদেশ। আর তখন বর্তমানের কর-জিডিপি অনুপাত ৯ শতাংশ থেকে তা পৌঁছে যাবে ১৭ শতাংশে। এ লক্ষ্যে বাড়বে করের পরিধি, পরোক্ষ করের ওপর নির্ভরতা কমে প্রত্যক্ষ কর বিশেষ করে আয়কর ও ভ্যাট আদায় বাড়ানো হবে। মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষকে বেশি আক্রান্ত করে। তাই ২০৪১ সালে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে রাখা হবে।
বাণিজ্য কাঠামোও ব্যাপকভাবে পরিবর্তন আনা হবে। পোশাক খাতে যেভাবে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে, একই ভাবে অন্য খাতে প্রণোদনা দিয়ে রপ্তানি বহুমুখীকরণ শক্তিশালী করা হবে। উৎপাদন, বণ্টন থেকে শুরু করে জাহাজীকরণ পর্যন্ত সর্বস্তরে একটি সহজ, সুন্দর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা হবে। বর্তমানে যেভাবে একটি শক্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গড়ে তোলা হয়েছে, এ ধারা আরো শক্তিশালী করা হবে।
বিনিয়োগকে ওই রূপকল্পেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তা গড়ে ৩৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। অভ্যন্তরীণ সঞ্চয়, উচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ ও প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের মাধ্যমে এটা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি খাতে যে প্রবৃদ্ধির ধারা বিশেষ করে চালের যে উচ্চ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি তা আরো বেগবান করা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উন্নয়নেও বহুমুখী কার্যক্রমের কথা বলা হয়েছে সারসংক্ষেপে।
দেশ যত উন্নত হবে, ক্রমেই কমে আসবে বাণিজ্যসুবিধা। বিশেষ করে শুল্কমুক্ত সুবিধা সংকুচিত হবে। সারমর্মে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের পর বার্ষিক রপ্তানি কমবে ১১ শতাংশ, যা টাকার অঙ্কে ছয় বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া ২০১৪ সালের পরডাব্লিউটিওর অনেক ছাড়ও কমে যাবে। তখনকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা সে। উচ্চ জিডিপি অর্জনে তখন নারীদের আরো কাজের সুযোগ করে হবে। পোশা আরো বেশি কর্মসংস্থান করা হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে ২০ म গান ৯২ জন এটি নিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এবং ডিজিটাল সুবিধার ব্যাপক প্রসার ঘটানো হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এই সময়ে বেসরকারি খাত ও অধি উৎপাদনশীল ও প্রতিযোগিতামূলক হবে। কৃমি, ম্যানুফ্যাকচারিং থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পরিচ, বুদ্ধিমত্তা, বোনটির থ্রি ডি মেটাল প্রিন্টিং প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এতে ব্যাপকভাবে কর্মসংস্থান বা ইয়ে শিল্পবিপ্লবে সম্ভাব্য ক্ষতির চেয়ে বরং উপকার বাড়বে ৫০ শতাংশ। একই ভাবে উৎপাদন উপকরণ থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অবদান ০.৩ শতাংশে উন্নীত করা হবে ৪.৫ শতাংশে।
নগরায়ণে ব্যাপক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা করা হয়েছে রূপকল্প ২০৪১ এর জন্য। বলা হয়েছে, এ খাতে বিনিয়োগ কর্মসূচি জিডিপির ২.৪ শতাংশ থেকে ২০৩১ সালে ৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে তা ৭ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। একই সময়ে জনসংখ্যার গুণগত মানোন্নয়ন করা হবে যাতে তা অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তখন না হবে শতভাগ, ১২ বছর বয়সীদের জন্য সর্বজনীন অবৈতনিক শিক্ষণ, সর্বজনীন সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যবীমা ও সবার জন্য পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যাপক কার্যক্রমও নেওয়া হবে। (সংকলিত)

আরও পড়ুন