Bijoy Dibosh Paragraph In Bangla
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ টাঙ্গাইল।
ভোর পাঁচটায় ঘুম ভেঙে গেল। মা উঠে গেছেন আগেই। নাশতা তৈরি করছেন। আমাকে তাড়াতাড়ি তৈরি হতে বললেন। আজ বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাস ধরে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ শত্রুমুক্ত হয়। এই দিন চূড়ান্ত পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। কাজেই আজকের দিনটি বাঙালি জাতির জন্য পরম পবিত্র ও তাৎপর্যময় দিন।
আমাদের কুমুদিনী কলেজ থেকে সকাল ৬টায় বিজয় র্যালি বের হবে। আমি যথাসময়ে পৌঁছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান মুখর বিজয় র্যালিতে অংশ নিলাম। শহরের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় র্যালি আবার কলেজ গেটে এসে থামল। আমরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করলাম। সেখানে শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করলাম। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করা হলো। পাশেই মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধন করলেন কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়। ছবিগুলো সংগ্রহ করেছে ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের সন্তানরা’। এতে স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ এর ভাষণ, ২৫ শে মার্চের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ, পাকিস্তানি সেনা ও তাদের দোসরদের হত্যাযজ্ঞ, মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর নির্মম অত্যাচার, নারীর সম্ভ্রম হরণ, নির্যাতন, গ্রামে গ্রামে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য, পরাজিত পাকিস্তানি সেনাদের পিছু হটে যাওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশন, খন্ডযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন বৈঠক, এলাকাবাসীর সর্তক অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে চিত্রগুলো চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠল। সেগুলো অপূর্ব দীপ্তি ছড়াল হৃদয় জুড়ে।
সকাল ৯টায় কলেজ মিলনায়তনে শুরু হলো আলোচনা সভা। পর্যাক্রমে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি হলো। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল, বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ও সাহিত্যিক ডা. মাহবুব সাদিক, কবি ও সাংবাদিক সাজ্জাদ কাদির ও কবি বুলবুল খান মাহবুব। তাঁদের তথ্যনির্ভর ও জ্ঞানগর্ভ আলোচন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আমি একটি পূর্ণ ধারণা লাভ করলাম। আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করছিল কলেজের ছাত্রীরা। আমিও কবি শামসুর রহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছি। মিলনায়তনের দর্শক-শ্রোতারা দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছিল। এই উজ্জীবিত হৃদয় দেশ ও জাতির কল্যাণে অকৃপণভাবে নিবেদিত হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার সংগ্রামে দৃপ্ত সৈনিক হওয়ার আহবান জানিয়ে অধ্যক্ষ মহোদয় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করলেন। বাসায় ফিরে এসে মাকে আমার অনুভূতি জানালাম। যাঁরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তাঁদের মতো দেশপ্রেমিক হতে মা আমাকে আশীর্বাদ করলেন। টিভিতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান উপভোগ করার পর রাত ১১টায় ঘুমাতে গেলাম।
Bijoy Dibosh Paragraph In Bangla এর বাংলা অর্থঃ
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ টাঙ্গাইল।
সকাল পাঁচটা ঘুমিয়ে গেল। মা বলো। নাশতা তৈরি করছেন। আমাকে দ্রুত হতে হবে। আজ বিজয় দিবস। ১৯৭১ তারিখে এই গত দীর্ঘ নয় মাস ধরে দেশটি মুক্তি পায়। এই দিনটি আত্মঘাতী পরাজয়ের গ্লানি নিয়ে আত্মসমর্পণ করে। ৩০ নিজেদের মধ্যে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। বাংলাদেশ আজ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নিজেরাই আজ দিনটি বাংলা জাতির জন্য পরম সত্য ওৎপর্যময় দিন।
আমাদের কুমুদিনী সকাল থেকে ৬ বিজয় বিজয় র্যালি বের হবে। আমি জোর করে সময় প্লেলো ‘জয় বাংলা’ স্গান মুখর বিজয় র্যালিতে অংশ নিলাম। শহরের মূল পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিজয় র্যালি আবার গেটে থামল। আমরা সুন্দর মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শক্তি। সেখানে মনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ১ মিনিট নীরবতা পালন। তাদের আত্মারফেরাত কামনা করে প্রার্থনা করা। দীপই মনের স্মৃতি সংবলিত চিত্র প্রদর্শনী লক্ষ্যের অধ্যক্ষ মহোদয়। ছবিগুলো সংগ্রহ করেছে ‘ আমরা সন্তানরা’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চ এর ভাষণ, ২৫ মার্চ শহীদ পাকিস্তানি সেনা সদস্য ও তাদের দোসর যজ্ঞ, নেতাদের উপর নির্মম অমিত, নারী সম্ভ্রম হরণ, সঙ্গে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন রাজনীতির দৃশ্য, পর্যাজিত পাকিস্তানি সেনারা পিছু হজ জ্ঞানের দৃশ্য। যুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধী সেনাদের আত্মসমর্পণ, সদস্যদের গোপন কথা, এলাকাবাসী সর্তক অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে চিত্রগুলো সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছে। পূর্ব অপূর্ব দীপ্তি শারাল হৃদয়ের অবস্থান।
সকাল ৯ প্রথম মিলনায়তনে শুরু আলোচনাসভা। পর্যায়ক্রমে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আভা। প্রধান অতিথি হিসাবে জেলা প্রশাসক, টাঙ্গাইল, বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ডা. মাহবুব সাদিক, কবি ও সাংবাদিক সাজাদ কাদির ও কবি বুলবুল খান মাহবুব। প্রাণ তথ্যনির্ভর ও জ্ঞানের আলোচ্য স্বপক্ষ ও রাজনীতি সম্পর্কে আমি একটি পূর্ণ ধারণা লাভ করি। কণ্ঠে শব্দে কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করছি ছাত্রদের। আমিও কবি শামসুর রহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি আবৃত্তি করেছি। মিলনায়তনের দর্শক-শ্রোতারা দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। এই উজ্জীবিত হৃদয় দেশ ও জাতির কল্যাণে অকৃপণভাবে নিবেদিত হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার দীপ্ত সৈনিক সমনিক আহ্বান অধ্যক্ষ মহোদয়ের সমাপ্তি দূর করতে। ফিরে এসে মাকে আমার অনুভূতি জানালাম। যাঁরা বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য দেশপ্রেমিক হতে মা আমাকে আশিয়ার্বাদের মত। তৃণমূলে বিজয়ের উৎসব উদযাপনের পর রাত ১১ ঘুমাতে ঘুমাতে।