খুদে গল্প রচনা

শিশুকাল ছিল রঙিন স্বপ্নের এক অসীম ময়দান। খেলাধুলা, গান, কবিতা, আর অজানা রহস্যে ভরা ছিল প্রতিটি দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠে রুমির প্রথম কাজ ছিল জানালা দিয়ে বাইরে তাকানো। নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ, সবুজের সমারোহে ঢাকা গাছপালা, আর কোকিলের মধুর কলতান এই সব মিলে রুমির মন ভরে যেত এক অপার্থিব আনন্দে। খেলাধুলা ছিল রুমির জীবনের প্রাণ। বন্ধুদের সাথে লুকোচুরি, কাবুলিওয়ালা, ডাকাত-পুলিশ সারাদিন ধরে খেলে রুমি ক্লান্ত হতো না। মাঝে মাঝে বাড়ির ছাদে উঠে উড়ন্ত পাখিদের দিকে তাকিয়ে রুমি ভাবত, একদিন সেও কি পাখির মতো উড়তে পারবে? সন্ধ্যার আলোয় রুমি বসতো মায়ের কোলে। মা তখন গল্প বলতো রাজা-রানী, দানব-দেবতা, আর অলৌকিক ঘটনার। রুমির মনে হতো, গল্পের সবকিছুই সত্যি।
রাতের আঁধারে রুমি জানালার পাশে বসে চাঁদের দিকে তাকাতো। চাঁদের আলোয় পৃথিবী দেখাতো অন্যরকম। রুমির মনে হতো, চাঁদে হয়তো কোনো রহস্যময় জগৎ আছে।
এভাবে কেটে গেল রুমির শিশুকাল। প্রতিটি দিন ছিল নতুন রঙে ঝলমলে। কখনো আনন্দে, কখনো দুঃখে, কখনো ভয়ে, কখনো সাহসে – নানা রঙে ভরা ছিল রুমির শিশুজীবনের দিনগুলি।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে রুমির জীবনে এসেছে নতুন দায়িত্ব, নতুন চিন্তা, নতুন লক্ষ্য। কিন্তু শিশুকালের সেই নানা রঙের দিনগুলি আজও রুমির মনে অমলিন স্মৃতি হয়ে আছে। যখনই রুমি পিছনে তাকায়, মনে হয় যেন ফিরে এসেছে সেই অলৌকিক দিনগুলো।

আরও পড়ুন