মাদকাসক্তি ও এর প্রতিকার রচনা
রিফাত: শুভ, তুই কি জানিস, মাদকাসক্তি কতটা ক্ষতিকর?
শুভ: (বিরক্তির সাথে) জানি, জানি। কতবার বলেছো!
রিফাত: তুই কি মনে করিস না তোর এই অভ্যাসটা তোর জীবনকে ধ্বংস করে ফেলবে?
শুভ: ধ্বংস করে ফেলবে মানে কি? আমি তো মজা করছি। রিফাত: মজা? তুই কি জানিস, মাদকাসক্তির কতগুলো কুফল আছে?
শুভ: আবার শুরু করলি! কতবার শুনেছি এইসব।
রিফাত: শুনলেও তো বুঝতে পারিস না। তোর শরীর, তোর মন, তোর পরিবার সবকিছুই তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
শুভ: থাম। আমি কিছু শুনতে চাই না।
রিফাত: (হতাশার সাথে) শুভ, তুই বন্ধু আমার। তোর এই অবস্থা দেখে আমার ভালো লাগছে না। তুই কিছু কর না কেন?
শুভঃ (কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে) ঠিক আছে, বল। আমি কি করবো?
রিফাত: প্রথমে তোকে মাদক থেকে মুক্তি পেতে হবে। অনেক রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার আছে যেখানে তোকে সাহায্য করা হবে।
শুভ: কিন্তু আমি কিভাবে? আমার তো লজ্জা লাগে।
রিফাত: লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। ভুল স্বীকার করে সংশোধন করাটাই মহানত্ব। আমি তোর পাশে আছি। তোকে সাহায্য করবো।
শুভ: (কৃতজ্ঞতার সাথে) ধন্যবাদ রিফাত। তুই আমার সজ্জা বন্ধু।
রিফাত: (হেসে) বন্ধুত্বের কথা ছাড়। এখন চলো, একটা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার খুঁজে বের করি।
(রিফাত ও শুভ রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে। রিফাত আশা করে, শুভ মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপন করবে।)