কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব রচনা

‘‘কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব’’
উন্নত দেশগুলোর গতানুগতিক শিক্ষা থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে গেছে। কারিগরি শিক্ষাকে তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্বের যত উন্নয়নশীল দেশ রয়েছে তারাও কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে উন্নত দেশের সারিতে উঠার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশে বর্তমান কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার বর্তমানে মাত্র ১৩.৬ শতাংশ। অথচ উন্নত দেশে এই হার ৩০ থেকে প্রায় ৭৫ শতাংশ। কারিগরি শিক্ষার ওয়াল্ড র‍্যাংকিংয়ে ১৪৯টি দেশের মধ্যে ১১৪। বর্তমান যুগে শিক্ষা হতে হবে বাস্তব জীবনের সাথে সংগতিপূর্ণ। যে শিক্ষা বাস্তব জীবনে কাজে লাগেনা, সেই শিক্ষা অর্থহীন। বাংলাদেশের বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনশক্তিকে বাজারের চাহিদার আলোকে শিক্ষায় শিক্ষিত করা, ভাষাগত দক্ষতা এবং কারিগরি দক্ষতা দ্বারা যদি একটি দক্ষ মানব সম্পদে রূপান্তর করা যায়। তবেই ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশের তালিকায় উন্নীত হবে। কারিগরি শিক্ষা ছাড়া অধিক জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করা অসম্ভব। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী বলতে স্বনির্ভর অর্থনীতি, যার অর্থ কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ বিষয়ে উপযুক্ত বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক নিজস্ব প্রযুক্তি সম্বলিত উন্নয়ন আবশ্যক। তার ধারাবাহিকতা এবং মাধ্যম হলো কারিগরি শিক্ষা।
> বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
> দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আত্মকর্মসংস্থান, উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরীতে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।
> কর্মমুখী শিক্ষা স্বাধীন পেশা গ্রহণে ব্যক্তির আস্থা গড়ে তোলে, তাকে স্বাবলম্বী করে তোলে।
> কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক জনগণ বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পায়।
> কর্মমুখী শিক্ষা “জ্ঞান জিজ্ঞাসা সৃষ্টি করে”, কাজে উৎসাহের সৃষ্টি করে এবং “মূল্যবোধ” সৃষ্টি করে। আমাদের দেশ বাড়তে থাকা বেকার সমস্যাসহ সামাজিক কুসংস্কার, রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত। এসকল সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন