সময়ের মূল্য রচনা
ভূমিকা: ক্ষনিকের এই সময়ে মানুষ কত কিছুইনা করে। কেউ কষ্ট করে টাকা পয়সা রোজগার করে ধনী হওয়ার জন্য কেউবা কষ্ট করে নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত করার জন্য। যে যাই হতে চাক না কেন সব কিছুর জন্য প্রয়োজন সময়। কারন ক্ষনিকের এই পৃথিবীতে নিজেকে সফল করার জন্য প্রয়োজন সময়ের মূল্য দেয়া। নিজেকে সফল ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন সময়কে শ্রদ্ধা করা, সময়ের হিসেব করে চলা। পৃথিবীতে যত বড় বড় জ্ঞানী এবং বিখ্যাত ব্যক্তি বর্গ ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে আছে তারা সবাই ছিলেন সময়ের প্রতি অনেক নিষ্ঠাবান ছিলেন। কথায় আছে “সময় এবং স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করেনা।” নদীর পানি যেমন চলমান তেমনি সময়ও চলমান। সময় তার গতিতে চলে তাকে কখনো আটকে রাখা যায়না। এই পৃথীবিতে তারাই সফল হতে পারে বা জয়মাল্য তারাই পায় যারা সময়ের মূল্য বোঝে। সুতরাং, মহামূল্যবান এই সময়কে কখনো অবহেলা করা উচিৎ নয়।
সময়ের মূল্য: “মহাকাল ছুটিছে অনন্ত ধায় কেহ তারে ধরিতে নাহি হায়।” যখন পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল তার আগ থেকে সময় তার নিজের গতিতে চলছে তো চলছেই। তার যাত্রা অসীমে। সারা জীবন ধরে কেউ যদি অধ্যাবসায় করে তবু সময় কে তার গতি থেকে আলাদা করা সম্ভব নয়। কেউ সময়কে আটকে রাখতে পারবেনা।
সময় হচ্ছে অমূল্য একটি সম্পদ। যাকে কখনো কেউ কিনতে পারবেনা। পৃথিবীতে অনেক কিছু কেনা গেলেও এই অমুল্য সম্পদ কে কখনো কেনা সম্ভব নয়। অনেক কিছুর আর্থিক মূল্য নিরুপন করা গেলেও সময়ের যে মূল্য রয়েছে তা নিরুপন করা সম্ভব নয়। বহমান নদী যেমন সাবলীল এবং প্রবাহমান সময় ঠিক তেমনি। এক সেকেন্ডের জন্যেও তার স্থির হওয়ার অবকাশ নেই। মানুষ এবং এই পৃথীবির সব কিছু একদিন থেমে যাবে কিন্তু দুরন্ত এই সময় তার গতিতে চলতেই থাকবে। তাই কবি Banjamin Franklin লিখেছেন- “You can’t keep today’s hour for tomorrow.” অর্থাৎ আজকের কাজ কালকের জন্য রেখনা। আজ যে কাজটি করবে বলে কালকের জন্য রেখে দিবে কাল সেই কাজ করার সময় ও সুযোগ নাও পেতে পার। প্রকৃতির নিয়মে সময়ের সাথে সাথে আমাদের কাজও শেষ করা উচিৎ। কিন্তু সেটা অবহেলায় যদি কালকের জন্য ফেলে রাখি তাহলে এই সেই কাজ কখনোই সম্পন্ন করা হবেনা। এক সময় অন্য কাজের নিচে চাপা পরে যাবে। তাই সময়ের কাজ সময়ে করা উচিৎ।
সময়ের মূল্য নিয়ে ধর্ম যা বলেঃ মহান আল্লাহতালা বলেছেন, “সময়ের আদি এবং অন্ত নেই, আমিই সময়।” আল্লাহতালা সব কিছুর জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন। মুসলিমরা দিনে যে পাচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। সেই নামাজের জন্যেও সময় বেধে দেয়া আছে। ফজরের নামাজ যেমন জোহরে পরলে হবেনা, তেমনি জোহরের নামাজও ফজরে পরলে হবেনা।
ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) সময়ের ব্যপারে অনেক সচেতন ছিলেন। তিনি সব সময় সঠিক সময়ে নামাজ আদায় করতেন, তার সব কাজ সঠিক সময়ে করতেন। হযরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন, “যদি কোনো মুমিন অন্য কোনো মুমিনের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে সাক্ষাতের ওয়াদা করে এবং সময়মত হাজির না হয় তবে তার উপর খোদার লানত বর্ষিত হতে থাকে ততক্ষণ, যতক্ষণ সে ঐ মুমিনকে অপেক্ষায় রাখে।”
সময়ের সঠিক মূল্যায়ন করাঃ বাংলার লোক কবির কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছে এ হাহাকার “এপার গঙ্গা ওপর গঙ্গা, মধ্যখানে চর ” অর্থাৎ এপার বলতে কবি বুঝিয়েছেন জন্ম, ওপার বলতে কবি মৃত্যুকে বুঝিয়েছেন এবং মধ্যখানে চর বলতে জীবনের সীমাবদ্ধ সময় কে বুঝিয়েছেন। এই ছোট্ট এবং সীমাবদ্ধ সময়ে নিজেকে সফল ব্যক্তি এবং স্বপ্ন পুরন করতে চাইলে প্রয়োজন সময়ের সঠিক মূল্যায়ন। নির্দিষ্ট সময়ের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করা। তবেই নিজেকে ব্যক্তিত্ববান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। যুগ যুগ ধরে বিখাত মনিষী, বিজ্ঞানী, জ্ঞানী ব্যক্তিরা তাই করে গেছেন। তাই তারা ইতিহাসের পাতায় চির স্বরনীয় হয়ে আছেন।
সময়ের বৈশিষ্ট্যঃ কবি বলেছেন, “সময় হলো এক অমোঘ সত্য যা আমাদের সবাইকে একদিন ছাড়িয়ে যাবে।” অর্থাৎ সময় তার নিজস্ব গতিতে চলে। সে আপন গতিতে চলে কারো জন্য থামেনা। সব কিছুর যেমন নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে ঠিক তেমনি সময়েরও রয়েছে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য। সময়ের বৈশিষ্ট্য হলো এর গতিশীলতা। সময় কে জগতের কোনো নিয়মে বাধায় সম্ভব না। কেউ সময় কে তার নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবেনা। কেয়ামত পর্যন্ত সময় তার নিজের গতিতে চলবে তার অস্তিত্ব বিরাজমান থাকবে। ঘড়ির কাটা সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে সময় অতীত কে আরো ভারী করে তোলে। আল্লাহ ছাড়া সময়কে ধরে রাখার ক্ষমতা আর কারো নেই। এখন যে সময় চলে যাচ্ছে একটু পর এই সময় অতীত হয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ হলো মরিচীকার মত। কখনোই ভবিষ্যৎ কে হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়না।
সময়ের সদ্ব্যবহারঃ ফকির লালন সাই বলে গেছেন তার গানে- “সময় গেলে সাধন হবেনা দিন থাকিতে দিনের সাধন কেন করলেনা।”
এই গানটির মাধ্যমে লালন সাই বোঝাতে চেয়েছেন যে সময় কে তুমি আজ অবহেলা করছ, যে কাজ ফেলে রাখছ পরের দিন করার জন্য সেই সময় কখনো ফিরে পাওয়া যাবেনা। যদি আমরা সময়ের সদ্ব্যবহার না করি তাহলে আমাদের সকল স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে, কোনো আশা পুরন হবেনা। আমাদের সাধনা কখনোই স্বার্থক হবেনা। ” দিন থাকিতে দিনের সাধনা কেন করলেনা” এই লাইনটির মানে হচ্ছে মানুষ যখন সময় কে অবহেলা করে সময় ফুড়িয়ে ফেলে আফসোস করতে থাকে, সেই কান্না এবং আফসোস বৃথা। কারন সময় থাকতে সময়ের মর্ম না বুঝে আফসোস করা বোকামি। জীবনের লক্ষ্য পূরনের জন্য সময় থাকতে সময়ের কাজ শেষ করতে হবে, তবেই আমাদের স্বপ্ন পূরন হবে। লালন সাই এই গানের মাধ্যমে এই মুল্যবান কথাটিই বোঝাতে চেয়েছেন।
সময়ের সদ্বব্যবহার করে অনেক মানুষ তাদের স্বপ্ন পুরন করেছেন। বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনষ্টাইন মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে আপেক্ষিকতা তত্বের আবিষ্কার করেন। তার জীবনী থেকে জানা যায় সময়ের ব্যপারে অনেক সতর্ক ছিলেন। তাইতো মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে এমন জটিল একটি তত্ব আবিষ্কার করতে পেরেছেন।
ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্যঃ ছাত্রজীবন কে বলা হয় জীবন সংগ্রামের প্রস্ততির সময়। এই সময় আমরা নিজেকে যেভাবে পরিচালিত করব ভবিষ্যতে ঠিক সেরকম ফলাফল পাব। এই সময় যে বীজ বপন করা হয় ভবিষ্যতে ঠিক তেমন ফল পাওয়া যায়। ছাত্রজীবনে অধ্যায়ন হচ্ছে প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। প্রতিদিনের পড়া পরবর্তী সময়ের জন্য ফেলে না রেখে প্রতিদিন শেষ করার মানসিকতা থাকতে হবে।
ছাত্রজীবনে পাঠাভ্যাসের পাশাপাশি শরীরচর্চা, চরিত্রগঠন এবং সংযমের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এক জন ছাত্র তার ছাত্রজীবনে যত পরিশ্রম করবে তার কর্মজীবন তত সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই সাফল্য নির্ভর করে একজন ছাত্রের সময়ের সঠিক মূল্যায়নের উপর। সুতরানফ, শৈশব থেকে সময়ের প্রতি সবার শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। ছাত্রজীবনে যারা সময় নষ্ট করেনা, দৈনন্দিন কর্মসূচিকে অবহেলা করেনা তারাই ছাত্রজীবনে সোনার কাঠির পরশ পায়। তাইতো এ প্রসঙ্গে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার বলেছেন, ” সময়ের প্রতি যাদের শ্রদ্ধা নেই, তারাই পৃথিবীতে নিঃস্ব, বঞ্চিত ও পরমুখাপেক্ষী।”
জাতীয় জীবনে সময়ের মূল্যঃ ছাত্রজীবনের মত জাতীয় জীবনে সময়ের মূল্য অপরিসীম। যে জাতি কর্মতৎপর নয় সে জাতি কখনো এগিয়ে যেতে পারেনা। তাদের জীবনে শুধু পতন আছে কোনো উত্থান থাকেনা। একটি জাতি আলস্য, ঔদাসীন্য, অনিয়মানুবর্তিতার কারনে চিরতরের জন্য একটি সভ্যতা থেকে মুছে যেতে পারে। আমাদের দেশের সাথে যদি উন্নত দেশ গুলোর তুলনা করি তাহলে দেখা যাবে তারা সময়ের ব্যপারে অনেক সচেতন, সবাই প্রচন্ড অধ্যাবসায়ী। কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা সবার কাছেই অলস হিসেবে পরিচিত। কারন আমাদের কোনো সময় জ্ঞান নেই। পরনিন্দা, পরচর্চা করে আমরা আমাদের সময়কে হেলায় নষ্ট করি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারনে জাপান একদম নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তাদের সময়নুবর্তীতার কারনে আজ তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। আজ তারা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে। তাই আমরা যদি আমাদের দেশের উন্নতি করতে চাই জাতি হিসেবে নিজেদের জাপানিদের মত উন্নত করতে চাই তাহলে অবশ্যই সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে এবং সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। তাইতো স্পানিশ দার্শনিক ব্যালটাজার গার্সিয়ান বলেছেন, “যার হাতে কিছুই নেই, তার হাতেও সময় আছে। এটাই আসলে সবচেয়ে বড় সম্পদ”
সময়ই শ্রেষ্ঠ সম্পদঃ মানব জীবন গঠিত কতকগুলো মুহূর্তের সমষ্টি নিয়ে। তাই প্রতিটি মুহূর্তই মানুষের জন্য মহামূল্যবান। অনেকে সময়কে ক্ষুদ্র বলে অবমূল্যায়ন করে থাকে। প্রকৃতপক্ষে সময়ের ক্ষেত্রে সামান্য বলে কোনো কিছু নেই। সময় হচ্ছে অসামান্য জিনিস। জীবনে এক সেকেন্ডের অপচয় করলেও জীবন থেকে অনেক সম্ভাবনাময় জিনিস মানুষ হারিয়ে ফেলে। যদি কেউ সময় কে জীবনে কাজে লাগায় তাহলে সেই ব্যক্তি তার জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারে। সময় কে ভালভাবে কাজে লাগাতে পারলে ধন সম্পদ, বিদ্যা- বুদ্ধি, যশ খ্যাতি সব – কিছু অর্জন করা সম্ভব।
সময়ের গুরুত্বঃ আমাদের জীবন ক্ষনস্থায়ী। কিন্তু কাজের মাধ্যমে যে গৌরব অর্জন করি তা ক্ষনস্থায়ী। মানব জীবনে অফুরন্ত শিক্ষা রয়েছে, রয়েছে অপরিমেয় কর্তব্য, আর কর্ম জগতের পরিধি ক্রমবর্ধমান। তাই সময় কে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে জীবনের কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানো উচিৎ। সঠিক সময়ে ফসলের বীজ বপন করলে যেমন শস্যের উৎপাদন ভাল করা যায়, রোগে আক্রান্ত হলে যেমন সঠিক সময়ে ওষুধ খেতে হয়, তেমনি সঠিক দায়িত্বের মাধ্যমে নিয়মিত পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল লাভ করা যায়। তাইতো কবি বলেছেন, “সময়ের গুরুত্ব বুঝে করা যারা কাজ। তারা আজ স্মরনীয় জগতের মাঝ।” সময়ের মূল্যায়ন ও জীবনে সাফল্য সময় গতিশীল তাই তাকে কখনো থামিয়ে রাখা যায়না। সময় কে কোনো কিছু দিয়ে আটকে রাখা সম্ভব নয়। সে কোনো লোভ বা ভয়ের পরোয়া করেনা। সময় প্রকৃতিগত ভাবেই নিষ্ঠুর ও নির্মম। অথচ সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে জীবনে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। যারা সময়কে সঠিক ভাবে কাজে লাগায় তারাই জীবনে সফল হয়। কিন্তু তারা সময় কে অবহেলা করে, হেলা করে তাদের জীবনে সম্ভাবনার সকল দ্বার বন্ধ হয়ে যায়, জীবনে ভয়াবহ পরিনতি ডেকে আনে।
সময়নিষ্ঠ ব্যক্তি ও জাতির উদাহরণঃ জগতে যারা ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে তাদের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তারা সময়ের প্রতি অনেক নিষ্ঠাবান ছিলেন। তারা কেউ সময়ের ব্যপারে উদাসীন ছিলেন না। তারা জীবনের প্রতিটি মূহুর্ত কে মেপে মেপে ব্যবহার করেছেন। কোনো জড়তা বা অলসতা তাদের গ্রাস করতে পারেনি। আব্রাহাম লিংকন সামান্য শ্রমিক থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সময় কে কাজে লাগিয়ে। ইসলামের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) তার জীবনের প্রতিটি সময় কে কাজে লাগিয়েছেন। এরিষ্টটল আলেকজেন্ডারের গৃহশিক্ষক থেকে সময়কে কাজে লাগিয়ে হয়েছিলেন বিখ্যাত দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, শেরে বাংলা ফজলুল হক, আইনস্টাইন এবং টমাস আলভা এডিসন সহ বিখ্যাত ব্যক্তিগন তাদের সময়কে কাজে লাগিয়ে আজ চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
সময়নিষ্ঠ জাতি হিসেবে ইংরেজ, আমেরিকান, জাপানি, ভিয়েতনামি, চাইনিজ এরা বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে আছে। সময়কে কাজে লাগিয়ে যে উন্নতির চরম শিখরে পৌছানো যায় এই জাতি গুলো তা দেখিয়েছেন। আমাদের মত অউন্নত দেশের কাছে তারা আজ রোল মডেল।
উপসংহারঃ ছোট্ট এই জীবনে উন্নতি করতে চাইলে সময়ের মূল্য দেয়ার বিকল্প কিছু নেই। আমাদের জীবনকে মহিমান্বিত করতে পারে সময়ের সঠিক ব্যবহার। মানুষের জীবন মহামূল্যবান তাই মহামূল্যবান এই জীবনকে সময় অপচয় করে নষ্ট হতে দেয়া উচিৎ নয়। অতীতে যারা সফল ব্যক্তি হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিতি পেয়েছে তারা সবাই অনেক নিষ্ঠাবান ছিলেন। ভবিষ্যতেও তারাই সফল হবেন যাদের সময় জ্ঞান আছে।